গল্পঃ ভালোবাসি । লেখকঃ তাসফি আহমেদ
গল্পঃ ভালোবাসি
লেখকঃ তাসফি আহমেদ
'
ভিতরে ডুকতে যাব তার আগেই দরজা টা বন্ধ হয়ে গেল।আজিব তো।কি হলো।কাহিনী টা কি? আমি কি কোন ভুলটুল করলাম নাকি??আচ্ছা আগে আপনাদের সাথে পরিচিত হই।
আমি তাসফি আহমেদ। আপাতত একটা ভাল জব করি।বিয়ে করেছি বছর ঘনিয়েছে।আমার বউ এর নাম তানহা মেহেজামিন।ভালবেসেই সাদি করেছি। ওকে পেতে যে আমার কত বেগ পেতে হয়েছে বলার বাহিরে।সেদিকে আর যাচ্ছি না।এখন আমার একটাই চিন্তা ও দরজা টা আটকে দিল কেন?
আমি কিছুক্ষণ চিল্লাচিল্লি করলাম মানে ডাকলাম আর কি।কিন্তু তার কোনো আওয়াজ নেই।কি করি কি করি হ্যাঁ ফোন দেওয়া যায়।
দিলাম ফোন।ধরেছ না কেরে।
আবার দিলাম।দুই তিন বার দিতেই ফোন টা ধরল।
:এত ফোন দিচ্ছ কেন?হ্যাঁ?সমস্যা কি?
আরেপ বাবা এত শক্তি পেল কই।আমার কানের একেবারে ভিতরে ডুকে গেল।মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে।
:কি হইছে বাবু।দরজা খুলোনা কেন গো?
:কি হয় নি সেটা বল।আর তোর কোন জায়গা নেই এই ঘরে। যা ভাগ।
তুই করে বলতেছে মানে আজকে আর আমার রেহাই নেই।কিন্তু আমি করলাম টা কি?আমার মা'টাও দরজা খুলছে না।আর আমি এখন শত বললেও আজ আর দরজা খুলবে না।তাই মুখ্যম চাল টাই চালতে হবে।
তাই বললাম
আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি যদি ঘরে না জায়গা তাহলে আর কি করার।আজ দুপুরে জুইদের বাসায় খাব।ও নাকি আবার খুব ভাল,,,,,,,,,,,,
(হা হা কথাটা শেষ হবার আগেই দরজা খুলে গেল।যারা প্রেম করেন তারাই কাহিনী টা বুজবেন। খুব জ্বলে যখন প্রিয়তমার মুখে অন্য কারো নাম শুনে)
এই আমারে টানছে কে রে।একি সেতি দেখি আমার শার্ট এর কলার ধইরা আমার মায়ের সামনে দিয়া আমাকে ঘরে নিয়ে জাচ্ছে।কিন্তু মা দেখি কিছু বলতেছে না।ঊল্টা মায়ের মুখ দেখে মনে হল
বাবা আজ বুজবা কত ধানে কত চাল।
।
আমাকে টানতে টানতে ঘরে নিয়ে গেল।তারপর আমাকে রেখে গেল দরজা আটকাতে।মায়ের কথাই সত্যি হবে তাহলে। তানহা আমার দিকে আগুন চোখে তাকিয়ে আছে।মনে হচ্ছে আমারে খেয়ে পেলবে।তাই আমাকে যথা সম্ভব শান্তি বজায় রেখে কথা বলতে হবে।আমি বললাম
:আর হবে না।এই দেখ কান ধরলাম। (কারফিউ যারির কারন টা আমি বুজতে পেরে গেছি।আসলে বাড়িতে আসার সময় একটা সিগারেট খেয়েচিলাম। কখন যে দেখে ফেলল।আমার জানা মতে ও তো এই সময় বেলকুনি তে আসে না।তাই সিগারেট টা খেতে খেতেই আসলাম। কিন্তু তানহা যে কিভাবে দেখে ফেলল।এই কারন টা একটু আগেই খুজে বের করলাম)
:
:কি হল কিছু বল না কেন? বললাম তো সরি।
কোন কথা নেই সরাসরি আট্ট্যাক করল।আমি দোড়াচ্ছি ও আমার পিছনে দোড়াচ্ছে।রুম টা বেশি বড় না। তাই ধরা পড়ে গেলাম।আমাকে ধরেই মারতে শুরু করে দিল।ও প্রতি টি কিলে আমি আমার জন্যে ভালবাসা অনুভুব করলাম।শেষে আর না পেরে ক্লান্ত হয়ে আমার বুকে মুখ গুজল।আমিই আমার বাহু ডোরে ওকে আবদ্ধ করলাম। কিছুক্ষণ পর আমি অনুভব করলাম ও কান্না করতেছে।ওজে ছাড়িয়ে আমার বরাবর করে ওর দিকে তাকালাম নাকের সামনের খানিকটা লাল হয়ে গেল।
:এই তুমি কান্না করছ কেন?
:আমি সুখে কান্না করি। তুই জানো না সিগারেট খেলে কি হয়।
:হুম জানি।
:তাহলে খাও কেন? আমি তোমাকে হারাতে চাই না।তুমি ছাড়া যে আমি অপুর্ন।আমার জিবন টাই যে তোমাকে নিয়ে।(এটা বলে আবার আমার বুকে মুখ গুজাল)।তোমাকে ছাড়া আমি বাচব না তাসফি। প্লিজ আর এমন টা করিও না।
আচ্ছা প্রিয় মানুষ টা যদি এমন কথা বলে তাহলে কি আর না করা যায়।
:আচ্ছা ঠিক আছে। এই তোমায় ছুঁয়ে বললাম।আর খাব বা।অকে??
:হুম মনে থাকে যে,?
আমার পাগলি টা আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে।আমিও ধরলাম। কিছুক্ষণ পর আমি বললাম
:এই একটা ইয়ে দাও না।?
:ইয়ে আবার কি?
:আরে তুমি বুঝ না।ইয়ে মানে মিষ্টি।
:না আমি তোমাকে দিব না।
এখন কি বলব ও সেটা জানে।তবুও কিছু করল না।তাই আমি বললাম
:তাহলে জুই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,(মিষ্টি) হুহ কি যে মজা (যদিও আমি বাস্তবে কখনওই খাই নি :লেখক)
ধন্যবাদ তোকে জুই।তুই না থাকলে আজ আমার কি হত।আপনাকে ধন্যবাদ লিখা টা পড়ার জন্যে।
.
তাসফি আহমেদ