গল্পঃ কষ্ট, অতপর সুখ। ২য় ও শেষ অংশ । তাসফি আহমেদ

গল্পঃ কষ্ট, অতপর সুখ।


২য় ও শেষ অংশ

তাসফি আহমেদ

.
নিমিষেইই শেষ করে পেললাম।এবার ওর চোখে পানি আভাস পেলাম।পরিস্থিতি সামলে আমি বললাম
:চল বাড়ি চল।
ও কিছু বলল না।শুধু আমার দিকে অস্রুসজল চোখে তাকিয়ে হাটছে।
"""
পরেরদিন আর ভার্সিটি যাই নি।গলাটা কেমন যানি বেথ্যা করছে। বিকেল বেলা বের হয়ে কিছু ওষুধ নিয়ে বাসায় আসলাম। বেথ্যাটা একটু বেশিই ছিল।তাই ঘুমিয়ে পড়লাম।ঘুম থেকেই শুনতে পাচ্ছি যে আমার পাশে বসে কেউ কান্না করতেছে। সকাল হয়ে গেছে বোধ হয়। আস্তে আস্তে চোখ টা মেলে তাকালাম। তাকিয়ে তো আমি অবাক।জুই!! ও এখানে কেন সেটা নিয়ে আমি অবাক হচ্ছি না।বরং অবাক হচ্ছি ওর চেহারা দেখে।রক্ত বর্নের চোখ।তার নিচে মনে হয় কেউ কালি লাগিয়ে দিয়েছে। এক রাতে কারো চেহারা এতটা চেঞ্জ হতে পারে তা আমার জানা ছিল না।
ও চাপা আওয়াজ এ বলল
:কি রে কেমন আছিস???
:যেমন দেখছিস
:কাল আমার ফোন ধরলি না কেন??
:ফোন সাইলেন্ট করে ঘুমিয়ে গেছিলাম।
কিছুক্ষন নিরাবতা। ওর দিকে তাকালাম।
মুখটা খুব কালো হয়ে আছে।যেন আষাঢ়ের ঘন কালো মেঘ।কিছুক্ষন পর আবাধ্য ভাবে পড়বে।হুম তাই হল।
ওর মাঝে চাপা কষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
হাত টা ধরে কেঁদে দিল।
:আমায় ক্ষমা করে দিস রে।আমি বুঝতে পারি নি যে তোর এতটা লাগবে। বিশ্বাস কর আমি কখনই এমনটাই চাই নি।
:আরে এখানে কান্না করার কি আছে।আর তুই তো ইচ্ছা করে করিস নি।আর আমারও তো ভুল আছে।তা না হলে কি এমন হত।
:সত্যি রে আমি ইচ্ছা করে,,,,,,,
:চুপ কর আমি বুঝতে পারছি।আর বন্ধুদের মাঝে কোন সরি বা ধন্যবাদ নেই।বুঝেছিস।
:হুম।তুই বস আমি চা নিয়ে আসছি।
আমি আবুল এর মতন হা করে আছি।কি বলল ও এটা।একদম যেন আমার বিয়ে করা বউ।
:কিরে হা করে আছিস কেন? মসা ডুকবে তো।
আমি একটু হকচকিয়ে গেলাম।আর ও মনোমুগ্ধকর একটা হাসি দিয়ে চলে গেল।আমি হাসছি মনে মনে।এমন যদি একটা বউ থাকত আমার,,,,,
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে বসলাম। আমি হাসা হাসির শব্দ পাচ্ছি।দুজনে মিলে বেশ হাসি তামাসা করতেছে। আমি উকি মেরে দেখলাম।মা আর জুই দুজনেই কথা বলছে আর কি নিয়ে জানি হাসছে।এটাই স্বাভাবিক। মেয়েরা এক সাথে হলে হাজারো কথার জুড়ি ফেলে।আমার তাদের দেখে মনে হচ্ছে এক জন শাশুড়ি আর আরেক জন বউ মা।পরিবেশ টাও মনোমুগ্ধকর। অজান্তেই হেসে পেল্লাম।কিছুক্ষণ পর জুই চা নিয়ে আসল।আমি ভাবছি ওকে মনের কথাটা বলে দিব।কিন্তু আমি কেন যে ওর সামনে গেলেই এই কথাটা বলতে পারি না।হাজারো কথা বলতে পারি। কিন্তু এই কথাটাই বলতে পারি না।
:এই নে তোর চা।
:হুম।কিন্তু আজ হঠাৎ করে একেবারে চা নিয়ে আসছিস। আবার মায়ের সাথেও দেখলাম খুব হাসা হাসি করছিস। কাহিনী টা কি বলত।
:তোর এত কিছু না বুঝলেও চলবে।আমি গেলাম।
:আরে আরে কই যাস।দাড়া, বলতে যা,,,,,,
:কোম বলাবলি হবে না।আমি গেলাম।নিজের খেয়াল রাখিস। ওষুধ গুলো ঠিক মত খাবি।যাই।বাই।
,
তাসফি :এটাই ছিল ওর সাথে আমার শেষ কথা।আমার সাথে ওর সাথে আর কথা হয়নি।আমি হারিয়ে ফেলি ওকে।
এটা বলে কন্না শুরু করে তাসফি। অজোর ধারায় কন্না শুরু করে।বাঁধ ভাংগা কান্না।কিন্তু ওর চোখ থেকে পানি পড়ছে না।হয়তো সব পানি শুকিয়ে গেছে।চোখসমুদ্র হয়তো এক ক্ষরাতেই শুকিয়ে গেছে।আর একটুও পানি জমা নেই।
'তাসফি এতক্ষণ তার নিজের জিবনের কাহিনীটা তানহা কে বলছে।
'
তাসফি কে কান্না করতে দেখে তানহার চোখেও জল কনা দেখা দিল।কিছুক্ষণ পর বলল
:আপনি ওকে হারালেন কি ভাবে,,,?
:যেদিন ও আমাদের বাড়ি থেকে চলে যায় সেদিনই আমার বাবা অসুস্থ হয়ে যায়।স্টক করেন উনি।তারপর বাবাকে হাসপাতালে নি।ওখানে আমার ফোনটা চুরি হয়ে যায়।বাবা অসুস্থ হওয়ার টেনশনে আমি ওর কথা প্রায় ভুলেই যাই।একটা মাস বাবাকে ট্রিটমেন্ট করাই।কিন্তু হাজারো চেষ্টা করেও বাবাকে ফিরাতে পারি নি।বাবাকে হারানোর পর আমাদের অবস্থা প্রায় নাজেহাল। বাবা মারা গেল, কিন্তু জুই আমাদের দেখতে আসল না। এক প্রকার চাপা অভিমান কাজ করে আমার ভিতর। নিজেকে সামলাতে আমার অনেক কষ্ট হয়। কিছুদিন পর নিজের অভিমান ভেংগে জুইদের বাসায় যাই।
:আসসালামুআলাইকুম চাচা
:অয়ালাইকুম আসসালাম।কেমন আছ বাবা,,,,?
:এইত আছি কোন রকম। আপনার কি অবস্থা?
:এইত বাবা না মরে বেঁচে আছি।।
:চাচা এ কয়দিন জুইকে দেখলাম না,,,,?ওর কি কিছু হইছে??
:ওও তোমাকে তো জানানো হয় নি।আর তুমি ছিলেও না।তোমার অনেক খোঁজ করেছি।পরে জানতে পারলাম তোমার বাবা নাকি অসুস্থ। তাই আর যাই নি।
:জি চাচা।
:আসলে কিছুদিন আগে পাগলীটাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।কাউকে তেমন জানাই নি।দেখতে এসে বিয়ে হয়ে গেছে। পরে অবশ্য পার্ট,,,,,,,
কাসতে শুরু করে তাসফি। চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসে ওর।এক সময় আর সেন্স থাকে না।অজ্ঞান হয়ে যায় ও।
'
চোখ মেলেই নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করে। পাশে কেউ কান্না করছে।নাহ আজ জুই কান্না করছে
না।ওর মা কান্না করছে।মাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছিল সেদিন।
,
ওর মায়ের অবস্থাও তেমন ভাল না।একে স্বামীর শোক তারপর আবার ছেলের এ অবস্থা। এত পেইন তিনি নিতে পারেন নি।
'
মাসখানেক পর তিনিও গত হয়েছেন। কি আর বলব তাসফির কথা। যে মানুষের চোখ,হাত আর পা থাকে না সেই
তার মতন হতবাগা আর কেউ নেই।তাসফিও তেমন।ওর সব কিছু থেকেও নেই।ওই কবিতাটা আছে না,
"অনন্ত, মেহেদী পাতা দেখেছ কখনো,
উপরে সবুজ, ভিতরে রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত লাল।"
তাসফির আজ তেমনি অবস্থা। ভেতর টা জ্বলে ফুড়ে চারখার হয়ে গেছে। হৃদয় এর প্রতিটি কোষ যেন মরে গেছে। কি কপাল ওর।মরেও গেল না, পাগলও হল না।আবার মরতেও পারে না।কষ্ট গুলো ওকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।
'
কথা গুলো বলে তাসফি ঘরে চলে যায়।তানহা রয়ে যায় ছাদে।কান্নায় ভেংগে পড়ে সেও।ভাবে,কিভাবে বেঁচে আছে মানুষটি।এত কষ্ট!!!!
,
,
এই তানহা হল তাসফিদের ভাড়াটিয়া। তাসফিদের বলছি কেন,,,? ওর তো কেউই নাই।
'
এখানে আসার পর থেকেই তাসফির কে কেন জানি তানহার খুব ভালো লাগে।কিন্তু মানুষটার ভিতরে যে এত কষ্ট লুকিয়ে ছিল সেটা জানা ছিল না।
'
পরের দিন থেকেই তাসফির ভাংগা মন জোড়া লাগাতে কাজে লেগে পড়ে তানহা।আসলে মেয়েদের মুল অস্র হল মায়া।যা দ্বারা তাসফিকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পেরেছে তানহা। কিন্তু তাসফির মনে একটা চাপা অভিমান কাজ করে জুই এর জন্যে। এটা তানহাও জানে।
'
খুব ভালোইই ছিল দুজনে।তাদের সংসার খুব ভালোইই চলে। তাসফির থেকে এত ভালোবাসা আসা করেনি তানহা। ও ভাবে, এই মানুষটা এত ভালোবাসতে পারে তা আমার জানা ছিল না।ওদের সংসার আলোকিত করে এক রাজকন্যার প্রবেশ ঘটে।নাম নুহা।বেশ ভালই চলছিল তাদের জীবন তরি।কিন্তু তাসফি হঠাৎ করে পরিবর্ত হতে শুরু করে। কারন টা জুই।অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে দেখা।প্রথম দিন তাসফি কথা বলে নি।কেন বলবে।স্বার্থপর একটা। কিন্তু সেদিন যে জুই এর চোখেও জল ছিল না অজানাই ছিল তাসফির। এ কথা তানহা কে জানানোর প্রয়োজন মনে করে নি তাসফি। কিন্তু ওর মনটা খারাপ থাকত সব সময়।তানহার সাথেও ভালো ব্যবহার করত না ও।কিছুদিন পর আবার জুই তার সামনে। এই মুখ দেখিতে চায় না ও।ঘৃণা করে ও।অস্রু ভরা চোখে পথ আগলে দাড়ায়।পার্কে বসে জুই বলে
:আমার কি দোষ।আমিও তো তোকে ভালবেসেছিলাম।সেদিন তোদের ওখান থেকে যাওয়ার পর ঘরে গিয়ে দেখলাম মেহমান। দরজা আটকে অনেক কেঁদেছিলাম। বলতে পারি নি বাবাকে যে আমি তোকে ভালোবাসি।কারন আমি সেদিন আমার বাবার মুখে হাসি দেখেছি।দেখেছি আমার প্রতি বিশ্বাস। তাই নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে পাড়ি দিয়েছিলাম শোশুর ভাড়ি।জানিস আমি এখনো তোকে খুব ভালোবাসি।কিন্তু নিয়তি আমাদের এক হতে দেয় নি রে।জানিস আমি তোকে কত ফোন দিছি,,,,?পরে তোর কথা সব শুনলাম বাবার থেকে।খুব কেঁদেছিলাম সেদিন। তবে যে দিন শুনলাম আন্টির কথা সেদিন আমার স্বামীকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছিলাম। উনিও আমাকে খুব ভালোবাসে।যদিও আমি উনাকে আমার উপর স্বামীর অধিকার ফলাতে বারন করেছি।উ,,,,,,
:আমিও পারতাম তোকে খুশি রাখতে।শুধু তুই চাস নি বলে।দেখ আমার চোখ দিয়ে এখন আর পানি পড়ে না।সব পানি শুকিয়ে গেছে। আমি আর কথা বলতে চাই না।আমি এখন তানহা আর নুহা কে নিয়ে খুশিতেই আছি।চলে যা তুই
:যাব। তবে আমার একটা আবদার রাখ প্লিজ।
:কি,,,,,,
কিছু না বলেই জড়িয়ে ধরল তাসফিকে।যা তানহার চোখ এড়ালো না।নুহাকে নিয়ে বিকেলবেলা ঘুরতে বের হয় তানহা।তারপর,,,,,,
'
'
মনে বুঝায় তাসফি। কিন্তু ও বুঝতে নারাজ। সেদিন তাসফি আর নুহা কে রেখেই চলে যায় তানহা।নুহাকে নিয়ে যেতে চচ্ছিল।কিন্তু কি ভেবে নেয় নি।তারপর বাড়ি চলে যায়।ওদের বাসায় ওকে ফিরিয়ে আনতে যায় তাসফি। কিন্তু সে দিন কি অপমানমটাই না করল।তারপর ওই অভাগা শহর ছেড়ে চলে যায় তাসফি। কিছুদিন পর ডিবোর্স লেটার আসে।যা দেখে আবার কান্নায় ভেংগে পড়ে তাসফি।অনেক দিন পর আবার কান্না করে ও। কিন্তু ওর অগাত বিশ্বাস তানহা ফিরে আসবে। তাই আর সাইন করা হয়ে উঠে নি ওর।
"""""""
জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করে তাসফি। পাশে কেউ কান্না করছে।এই কান্না কার জানা আছে ওর।কিন্ত ও এখানে কেন,,,?
:আমার নুহা কোথায় নুহা নহা,,,,,?
একপ্রকার পাগলের মত খুঁজে নুহা কে।
:এইত বাবা এ খানে আমি।আমি খুব সরি বাবা।আসলে আমাকে মা ডেকেছিল তাই চলে গেলাম। তোমার খুব কষ্ট হয়েছে তাই না বাবা।আমি আর কখনোই এমন কাজ করব না বাবা।এই কান ধরছি।
কথাগুলো খুব তাড়াতাড়ি বলল নুহা।
:জান মা বাবা প্রতি রাত আমাকে কোলে নিয়ে ছাদে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে কান্না করত,,,,
মেয়ের কথা শুনে আবার কান্না করে তানহা।তাসফির চোখেও জল আসে। কিন্ত তা লুকিয়ে বলে
:নুহা মামুনি উনি তোমার মা নয়।আন্টি।আন্টি বল উনাকে।
করুণ দৃষ্টিতে তাকায় তানহা।কি হাল করেছে নিজের। তাসফির কথা তো বাদই দিলাম। এই দুই বছরে তানহাও সুখী ছিল না।প্রথমে রাগ ছিল তাসফির উপর। কিন্তু কয়েক মাস পর যখন জুই এর সাথে দেখা হয় তখন সব খুলে বলে তানহাকে।নিজের ভুল বুঝতে পারে তানহা।কিন্তু কি করবে। ও তো ডিবোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছে।সেদিন জুই রাগে তানহাকে একটা চড় দেয়।আর বলে
:কেমন ভালোবাসেন আপনি? ওকে বিশ্বাসও করতে পারেন নি সেদিন।আমি না হয় ভুল করেছি।তাই বলে আপনিও?
আজ নুহাকে দেখে ডাক দেয় কোলে নিবে বলে।নুহাকে এক্সিডেন্ট থেকে বাঁচায় ও।তারপর তাসফিকে নিয়ে আসে
হাসপাতালে। ভাবনায় ছেদ পড়ে তাসফির কথায়,
:আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমাকে আর আমার মেয়েকে বাঁচানোর জন্যে। আমি এতেই কৃতজ্ঞ।আসি।
এই বলে চলে যায় তাসফি। ফিরে আসে সেই বাড়িটাতে।যেখানে মিশে আছে ও।ওর পথ চলা।হাজারো নিঃশ্বাস জড়িয়ে আছে এখানে।
বাবা মেয়ে রুমে বসে গল্প করছে।হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠল। তাসফি উঠে গিয়ে দরজা খুলেই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ও।নিজেকে সামলে বলল
:কি চাই?????
:তোমাকে চাই??? আমার নুহাকে চাই?
:সরি আপনার ভুল হচ্ছে মনে হয়। আপনি যেতে পারেন।
এবার তাসফির পাঁয়ে পড়ল।দুই পাঁ চেপে ধরে বলল
:প্লিজ এমন করিও না।প্লিজ,,,,,
, কান্না শুরু করে দিল ও।
:এই কি করছেন? ছাড়েন বলছি ছাড়েন?।
:প্লিজ,তাসফি আমাকে বাঁচতে দাও।আমিও যে সুখে ছিলাম না।জুই আমাকে সব বলেছে।কিন্তু তখন খুব দেরি হয়ে গেছে।আমি জানি তুমি ডিবোর্স পেপার সাইন কর নি।
তাসফি কিছুই বলছে না।
:আচ্ছা তোমাকে আমার ভালবাসতে হবে না।শুধু নুহা আর তোমার পাশে থাকতে দিলেই হবে।
"""""'''"""""""
সেদিন তানহাকে ক্ষমা করে দেয় তাসফি। তবে শুধু নুহার জন্যে।
ওদের সংসার আগের মতই চলছে।তবে ভালবাসা টা আগের মত নেই।
আজ নুহা বড় হয়েছে। ও এখন নিজের জন্যে একলা একটা রুম চাচ্ছে। তার মুল কারন বাবা মাকে মিলিয়ে দেওয়া।
রাতে দুজনেই শুয়ে আছে।দুজন খাটের দুই প্রান্তে।
কারো চোখে ঘুম নেই। হঠাৎ তানহা তাসফিকে জড়িয়ে ধরল পিছন থেকে।নিজের গাল তাসফির গালের সাথে লাগিয়ে রেখেছে।আর জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।যে কোন এক কঠিন কাজ ও সাধন করল।খুব জোরে জড়িয়ে ধরল তানহা। কিছুক্ষন পর নিজের দিকে তাসফিকে ফিরিয়ে তাসফির দুই গালে দুই হাত রেখে বলল
:জানো কতদিন এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম।।
তাসফি কিছুই বলতে পারছে না।শুধু কান্ন করেছে।
তারপর তানহা তাসফির দুই ঠোট এর মাঝে নিজের দুই ঠোট রেখে দিল।যার ঘভিরতা আজানা।
কিছুক্ষণ পর তানহা বলল
:জানো কত দিন পর তোমার ওই ঠোট দুটির ছোঁয়া পেলাম।
তাসফি আর পারছে না।জড়িয়ে ধরল তানহা কে।
(হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার আনন্দ কেবল তারাই বুঝবে যারা সে জিনিস হারিয়েছে?

তাসফি আহমেদ

আরো গল্প পড়তে এখানে ক্লীক করুনঃ

সকল গল্পের লিংক। 


গল্পঃ কষ্ট, অতপর সুখ। ২য় ও শেষ অংশ । তাসফি আহমেদ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url