গল্পঃ শেষ প্রহর।

বাংলা গল্প Love Stories Bangla Choto Golpo  Bangla Valobashar Golpo Bangla Golpo love5


শেষ প্রহর


:এই তাসফি উঠ বলছি।উঠ!!!
:এই কে রে এত সকাল কানের কাছে প্যান প্যান শুরু করেছে।
:কি,,,?আমি প্যান প্যান করি,,,,,,? দাড়া দেখাচ্ছি মজা।
ও কি করছে না করছে সেদিকে আমার কেয়ার নেই।আমি আছি আমার স্বপ্ন নিয়ে।ওফফ কি সুন্দরই না ছিল মেয়েটা।
এইত এখনি আমাকে প্রপোজ করবে।
ওমা একি!!! প্রপোজ করতে আবার পানি লাগে নাকি,,,?ও পানি নিয়ে আসছে কেন,,,?
ধুর!! হয়ত আমাকে পানি দিয়েই প্রপোজ করবে।আধুনিক যুগের মেয়ে বলে কথা,,,!
একি সে আমার দিকে পানি নিয়ে দোড়ে আসছে কেন?
ওফ দিল পানি মেরে,,,!কি যে করি,,,?
আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে আমার বিছানা আর গেঞ্জি টা ভেজা।হাত দিয়ে দেখলাম দিয়ে দেখলাম,,,, আরে হ্যাঁ,,,আমি তো ভিজে গেছি।তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম।এই আকাম করল কে,,,?দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি নিধি,,,!মুখ টিপে হাসছে।হাতে একটা বড় মগ।কাহিনীটা বুঝলাম তাই,
এই নিধির বাচ্ছা দাড়া।আজ তোর খবর আছে।
এই বলে দিলাম এক দৌড়ানি।দাড়া বলছি!! দাড়া,,,,!
ও সোজা রান্না ঘরে আম্মুর কাছে চলে গেল।আমি গিয়ে দেখি আম্মু আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।আর ও আম্মুর পিছনে মুখটিপে হাসছে।
এখন আমি কিছু বললেও লাভ হবে না।তাই নিরুপায় হয়ে ওয়াস রুমে চলে গেলাম।
এটা আমার দৈনন্দিন দিনের রুটিন। এই মেয়েটা প্রতিদিন সকালের ঘুমটা হারাম করে দেয়।কি যে করি,,,?
নাস্তা শেষ করে উঠে রুমে গিয়ে ভার্সিটি যাওয়ার জন্যে রেডি হচ্ছি।এমন সময় ও আবার আসল,,,,
:এই তাসফি,,,, কই তুই,,,?
:এইতো রেডি হয়ে আসছি। তুই দাড়া,,,,
:জলদি কর,,,,দেরি হয়ে যাচ্ছে,,,।
:হুম আসছি।
দুজনেই এক সাথে হাঁটছি।আমি বললাম,
:আচ্ছা তুই কি আমাকে শান্তিতে একদিন ঘুমাতেও দিবি না নাকি,,,,?
:নাহ,,,, দিব না,,,দেখি তুই কি করতে পারিস।
:কোন জন্মে যে কি পাপ করেছি যে তোর মত এমন এক বন্ধু আমার কপালে জুটল,,,,,
:বন্ধু যেহেতু হয়েছিস একটু কষ্ট তো সহ্য করতে হবেই,,,,
:একটা কথা বলি,,,,?
:অনুমিত নিচ্ছিস নাকি,,,?আগে তো নিতি না,,,,
:আমার খুব চিন্তা হচ্ছে
:তা কি নিয়ে চিন্তা হিচ্ছে শুনি,,,,?
:তোর হবু বর এর কথা ভেবে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে,,,
ও একটা রাগি লুক নিয়ে বলল,
:কেন,,,?
:তুই যে মেয়ে,,,, তার ফিউচার নিয়ে আমার কষ্ট হচ্ছে।তুই একে বারে বেচারার লাইফটা হেল করে দিবি।আমি তোর বন্ধু হয়ে আমার সাথে এমন করছ। আল্লাহ জানে তোর জামাইএর সাথে কি করছ।
কথা গুলো বলে আমি একটু থামলাম। আমি একটু আগে চলে আসছি।ও আমার একটু পিছনে। বেশি না।খুব কম দুরুত্ব।আমি পিছন পিরে তাকালাম। ও রাগি লুক নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমার সামনে এসে বলল,
:তাই না,,,,?
অবস্থা বেগতিক,,, এমনটাই আমার মস্তিষ্ক জানান দিচ্ছে।ওর গাল আর কান টা রাগে লাল হয়ে গেছে।ওর এই জিনিস টা আমার খুব ভালো লাগে।ওর রাগটা বাড়ছে।তাই আর দাড়িয়ে না থেকে দিলাম দৌড়।কিন্তু আমাকে ভুল প্রমানিত করে ও আস্তে আস্তে আসছে।আমি কিছু দুর গিয়ে আবার ওর কাছে ফিরে আসলাম।
:কিরে তুই আমাকে দৌড়াইলি না কেন,,,?
:এমনি,,,,তোর প্রতি আজ মায়া হল।
:ওও তাই বল,,,যাক অন্তত আমার জন্যে তোর মনে একটু মায়া তো আছে।
:হুম।তবে তোর ফিউচার নিয়ে আমিও চিন্তিত।
:আমাত ফিউচার নিয়ে তুই চিন্তিত??
:হুম।।।তোর সব শান্তি হারাম হবে রে,,,, হাবলু,,,,
:কি,,,?
ও কিছুই বলল না।শুধু হেঁটে চলে গেল।সারা পথে ওর সাথে আর আমার কথা হয় নি,,  
পরের দিন,
আমি ছাদে গেলাম। গিয়ে দেখি নিধি দাড়িয়ে আছে।তাই বললাম, 
:কিরে চম্পা কি করছ,,,,?
:এই তুই আমাকে চম্পা বললি কেন,,,?
:হা হা তুই তো চম্পাই।।।।।
:এই ভালো হবে না কিন্তু বলে দিলাম,,,,
:আচ্ছা!! বাদ দে।আজ জগড়া করার মুডে নাই।।।
:কেন,,,?
:আরে একটা হট খবর আছে,,,
:কি,,,?
:আরে দোস্ত বাবা আমার জন্যে বাইক কিনে পেলেছে।
:তাই নাকি,,,,?
:হুম দোস্ত।।আমি খুব খুশি।
:ওও,ভালো।।।
এই বলে ও চলে গেল।আমি পুরা বেকুব হয়ে গেলাম।আমি আরোও ভাবছি আমার পকেট টা হয়ত কিছুক্ষনের জন্যে অসুস্থ হবে।।কিন্তু তেমন কিছুই হল না।
নাহ আমাকে  কিছুক্ষন একা ভাবতে হবে এই বিষয় নিয়ে।
অনেক খুঁজেও আসানুরুপ তেমন কিছু পেলাম না।তবে আমার মনে হচ্ছে ও আমাকে ভালোবাসে।ওর প্রতিটা আচরন আমাকে তেমনটাই জানান দিচ্ছে।কিন্তু ও কিছু বলছে না কেন,,?আমি আরো ও বলবে বলে বসে আছি।
বেশ কয়েক দিন থেকেই নিধি আমার সাথে ঠিক মত কথা বলছে  না।কিন্তু কেন,,,? আমার খুব ভয় হচ্ছে।ও আবার আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো।ও অন্য কারো হবে,,,,ওকে অন্য কেউ ছুঁবে,,,,নাহ আর ভাবতে পারছি না।আমাকেই কিছু করতে হবে।
'
রূপা কে বাইকের পিছনে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসলাম।আসলে আমাদের একটা রক্ত সেবা গ্রুপ আছে।একজনের খুব জরুরি রক্ত প্রয়োজন ছিল।রূপার রক্তের সাথে  মিলে রোগির গ্রুপ।তাই সকাল সকাল ঘর থেকে বের হয়ে ওকে ওকে পিক করে হাসপাতালে গেলাম।আমি জানি নিধি আমাকে খুঁজেছে সকাল বেল।পায় নি বলে অবশ্যই মন খারাপ করেছে হয়ত,,তাই ভার্সিটি চলে আসলাম ওর রাগ ভাংগাতে।রূপা আবার পোলা পোলা টাইপের।তাই বাইক থেকে নেমেই 
:যাই দোস্ত।ভালো থাকিস।
এই বলে একটা হাগ দিল।নিধি আমার সামনে বসে আছে।ওর সামনেই আমি বাইক থামালাম।কিন্তু রূপা যে এমনটা করবে তা আমার জানা ছিল না।ও হাগ করেই চলে গেল।আমি নিধির দিকে তাকিয়ে আছি।রাগে ফুঁসছে ও।যেন আস্ত খেয়ে পেলবে। আমি ওর সামনে যাওয়ার সাথে সাথেই ও আমাকে একটু চড় মারল।তারপর সোজা ক্লাসে চলে গেল।আর আমি থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।
ক্লাসে ওরও মন বসছে না আর আমার তো না-ই।আমি শুধু ওকে দেখেই যাচ্ছি।আর অনুমান করার চেস্টা করছি যে ওর মাঝে আমার জন্যে কতটুকু ভালোবাসা রক্ষিত আছে।হঠাৎ ক্লাস শেষ হতেই ও বের হয়ে গেল।আমি বুঝলাম ওর ভিশন মন খারাপ।তা না হলে এই মেয়ে কখনই ক্লাস মিস দেয় না।
আমিও ওর পিছন পিছন বের হয়ে গেলাম।ও বড় মোটা হিজল গাছটার নিছে বসল। আমি ওর সামনে গেলাম।
একি ও কান্না করছে,,?আমি যাওয়াতেই ও চোখ মুছে আমার দিকে না তাকিয়ে ভারি কন্ঠে বলল
:এখানে কি তোর,,,,? যা এখান থেকে যা,,,,,?
:না আমি যাব না। এটা কি তোর বাবার জায়গা নাকি যে তুই বললেই যেতে হবে।
:হ্যাঁ এটা আমার বাবার জায়গা,,, কোন প্রব্লেম??
:কোথায়? এখানেতো তোর বাবার নাম লিখা নেই।
:দেখ পাইলামি করবি না।ভালো লাগছে না,,,
:কেন,,,?ভালো লাগছে কেন,,?
:সেটা তোকে বলতে হবে নাকি,,, যা এখান থেকে যা   ?
:হ্যাঁ আমাকেই বলতে,,,,, 
:কেন ? তোকে বলতে হবে কেন,,,?
:আমাকেই তো এত দিন বলে আসছিস। তাই আমাকেই বলবি।
:এতদিন বলছি কারন এত দিন তুই আমার ফ্রেন্ড ছিলি,,,কিন্তু এখন আর নেই।এখন তোর অন্য কেউ আছে,,,,?যা তার কাছে যা,,,!
আমি স্পষ্ট দেখলাম ওর চোখ থেকে কয়েক  ফোটা জল ওর জামাতে পড়ল।
তাৎক্ষণিক ভাবে ও সেগুলো মুছে পেলল। আড়াল করে ফেলল,,,,?তবে তা আমার চোখ এড়াল না।
আমি ওর হাত চেপে ধরে বললাম,
:খুব ভালোবাসিস আমায় তাই না,,,?
ও আমারদিকে খুব তাড়াতাড়ি তাকাল।আমি দেখে অবাক হলাম যে ওর চোখ এতক্ষনে এত লাল হল কি ভাবে,,,,বুকের ভিতরটা মচড় দিয়ে উঠল। খানিকটা চিনচিনে ব্যাথা বলা যায়।
ও বলল,
:না,,, আমি কাউকে ভালোবাসি না,,,,,
:আমি জানি তুই আমাকে ভালোবাসিস।
:তো জানলে আমাকে এত কষ্ট দিস কেন,,,,,?হু,,,?জানলে তো আর অন্য কোন মেয়েকে নিয়ে ঘুরতি না।
:আরে না আমি ঘুরি নি। 
আমি ওকে পুরা কাহিনীটা বললাম।
কাহিনীটা বলার পর ওর ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া মুখ খানা কেমন উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তবে হাসল না ও। অভিমানী কন্ঠে বলল,
:তো কি হয়েছে,,,?ও  তোর কাঁদে হাত রেখেছে।ব্রেক করার সময়,,,,,,,
ওকে থামিয়ে আমি বললাম,
:এই না না না।আমি এমন ছেলে না,,,,কি বলিস তুই এগুলা।
:হুহ!!!!তুই কেমন এ আমার জানা আছে হু,,,!
:সত্যি বলছি।।। আমি এমন কিছুই করি নি।
:হুম
:কি হুম
:কিছু না,,,,
:কি কিছু না।
:এই তুই আমাকে ভালোবাসিস??
:না।আমি তোকে ভালোবাসব কেন,,,? তুই তো আমার জাস্ট ফ্রেন্ড,,,?
ও বলল,
:কি বললি তুই,,,?
:হ্যাঁ সেটাই তো,,,,
:দাড়া দেখাচ্ছি মজা।
আমি দোড় দেওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি।তার আগেই আমাকে ধরে পেলল।
:কই পালাও চান্দু,,,?
:ক-ক-ক-ই ন-ন-না তো।আমি পালাব কেন,,,,?
ও মৃদু হেসে হঠাৎই আমার গালে একটা চুমু দিল।
:এই তুই এটা কি করলি,,?
:কিছু না।তোকে ওই সময় যে চড় টাই না মারলাম,,,!তাই তার প্রতিদান এটা,,,
:বলিস কি রে,,,?এমন হলে তো আমি প্রতি দিন চড় খেতে রাজি।
:নাহ চড় খেতে হবে না।আগে বিয়ে করে নিজের করে নে,,,তারপর ফ্রিতেই পাবি যাহ,,,এটা তোর জন্যে অফার,,,,
:চল!!
:কোথায়, ?
:কাজি অফিসে,,,!!
:পাগল নাকি,,,,?
:হা হা হা।ভয় পাইচ।ভয় পাইচ না।আমি তোরে ঠিকি বিয়া করমু।তবে আগে চাকরি পাই,,,,
:চিন্তা করিস না,,,,,আমাদের বিয়ে আগ থেকে পাকা ছিল।
:আরে তাই নাকি,,,,,?
:হ্যাঁ রে হ্যাঁ।
:আমার যে খুশি লাগতেছে না,,,,বলার বাহিরে।তবে,,,,,
:তবে কি,, ?
:ওই যে মনে নেই,, আমি যে বললাম তোর হবু    স্বামির কথা,,,,ইস আগে যদি জানতাম সে অভাগা আমি হব,,,,,!!তাহলে তোর সাথে আর কথাই কইতাম না।
:কি বললি তুই।যা তোর সাথে আমার আর কথা নেই।আমি আজই এই বিয়ে ভেংগে পেলব,,,,
:এই তোর দুপায়ে পড়ি এমন সর্বনাশ করিস না,   
:তাহলে বল আর এমন বলবি  না,,,,
:এই কান ধরছি আর বলব না।
:হুম মনে থাকে যেন,,,,?
:হুম থাকবে।
:নে এবার প্রপোজ কর,,,
:পারুম না,,,?
:সত্যি পারবি না,,,,,?
:আরে এভাবে তাকানোর কি আছে।যে ভাবে তাকিয়ে আছিস যেন জেন্ত খেয়ে পেলবি।আচ্ছা যা করছি,,,
:হুম জলদি কর,,,,তারপর জড়াই ধরমু,,  ,,
:সত্যি,,,?
:আগে প্রপোজ তো কর ,,,,,
:ওকে।জাস্ট ওয়েট,,,, 
'
আমি আর ও বাইকে করে বাড়ি ফিরছি।ও আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছে।
ও বলল,
:আর কোন দিন যদি কোন মাইয়ারে তোর বাইকে উঠাস তাহলে তুই আর তোর বাইক দুজনকেই গুম করে পালাইমু,,,
:আচ্ছা তাই নাকি,,,,,আমি যদি না থাকি তাহলে তুই থাকবি কেমনে,, হু,,,?
:এটা তো ভেবে দেখি নি,,,,?আচ্ছা তাহলে আমি  তুই তোর বাইকে তিন জনই গুম হয়ে যাব।
:হা! হা! হা! হা!
:এই তুই আমাকে ছেড়ে যাবি না তো,,,,?
:যেভাবে জড়িয়ে ধরে আছিস,,,,, যাওয়ার তো কোন উপক্রমই নেই,,, 
:হুম।এভাবেই ধরে রাখব,,,,,কোথাও হারাতে দিব না তোকে,,,,,
আমি আর কিছুই বললাম না।এখনে আর কিছুই বলার থাকে না।ও আমাকে এখনো জড়িয়ে ধরে আছে।নিজেকে কেন জানি খুব সুখি মনে হচ্ছে,,,, 
কিছুক্ষন পর ও বলল,
:জানিস তুই যখন ওই মেয়েটাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসলি,,,,আমার যে অবস্থা হয়েছিল,,, মনে হচ্ছিল ভিতরটা একেবারে জ্বলে শেষ হয়ে যাচ্ছে,,,,তারপর ওই বজ্জাত মেয়েটা আবার তোরে হাগও করেছে,,,, নিজের রাগআর ধরে রাখতে পারি নি।তাই তুই আসার সাথে সাথে চড়টা দিয়ে দি,,,,রাগটা এত বেশি ছিল যে আমি কি করেছি সেদিকে আমার খেয়াল নেই।কিন্তু বিশ্বাস কর তোকে মেরে আমি খুব শান্তি তে ছিলাম না।মনে হচ্ছে যে খুব বড় ভুল করে পেলেছি।তাই ক্লাসেও মন বসে নি।তুই আমাকে ক্ষমা করেছিস তো হাবলু,,,,
:তুই যা করেছিস এতে কোন ভুল নেই।তোর জায়গায় আমি হলেও আমি এমন করতাম।এখন কথা কম বল।বাইক চালানোর সময় কথা বেশি বলতে নেই।
ও কিছু বলল না।
কিছুক্ষন পর আবার বলল,
:জানিস তোকে আমি খুব ভালোবাসি,,,,
:হুম আমিও তোকে খুব,,,,,,,,,
চার মুখি রাস্তা ছিল ওটা।ওদের গন্তব্য ছিল সোজা রাস্তাটার দিকে।তাই তাসফি সোজা যাচ্ছিল।কিন্তু  ওদের পাশ বরাবর যে রাস্তাটা ছিল সে রাস্তার দিক হতে একটা ট্রাক আসছিল।ওটাকে পুলিশ ধাওয়া করছিল।তাই চালক বেহুশ হয়ে ট্রাকটা চালাচ্ছিল।
তাসফির বাইকের পিছনের অংশে,,,যেখানে নিধি বসেছিল,,,,তার একটু পিছনে ট্রাকটা সজোরে আঘাত দেয়।তাসফির বাইকটা ঘুরে সামনের অংশ আবার ট্রাকের পিছনের অংশের সাথে বাড়ি খায়,,,,,এর আগেই নিধি বাইক থেকে ছিটকে পড়ে রাস্তার একপাশে চলে যায়,,,,আর তাসফি!!! ও দ্বিতীয় বার যখন বাড়ি খায় তখন বাইক থেকে খুব জোরে ছিটকে সোজা রাস্তার  বীট এর সাথে গিয়ে সজোরে বাড়ি খায়,,,,।
তারপরেও ও উঠে গিয়ে নিধির কাছে যেতে লাগল।ওর শার্টটা লাল হয়ে যাচ্ছে ধিরে ধিরে।কি দুর যেতেই ও পড়ে গেল।তারপর শুয়ে শুয়ে নিধির কাছে গেল।নিধি চোখ দুটু বড় করে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে।তাসফি এসে ওর হাতটা ধরেই পেলল।তারপর বলল,
ভালোবাসি।
তারপর আর কারো কিছুই মনে নেই।।
"
মনপুরি পার্ক।একটা বেঞ্চ।বেঞ্চটার দুই পাশে বড় দুইটা ক্রিশ্নচুড়া গাছ।ফুল গুলোর বর্ন রক্ত বর্ন।।কিছুক্ষণ পর হালকা বাতাস আসছে।একেবারে মন মুগ্ধকর পরিবেশ।
বেঞ্চটা তে একজোড়া মনব মানবি বসে আছে।ছেলেটির হাত মেয়েটা খুব শক্ত ধরে আছে।ছেলেটির বাহুতে মাথে রেখে রক্তাক্ত সূর্য ডোবা দেখছে মেয়েটা। সাথে ছেলেটিও।কারো মুখে কোন কথা নেই।দুজনের চোখেই জল।হঠাৎ মেয়েটা ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরল। খুব জোরে কান্না
শুরু করল মেয়েটা। সাথে ছেলেটাও।
মেয়েটা বলে উঠল,
:আর কোনদিন যদি বাইক চালাস তাহলে তোকে খুন করে পেলব,,,,আ))
:এই কান ধরেছি।আর কখনই চালাবো না।
:হুম মন))১
ে থাকে যেন,,,,,
তারপর একজন আরেক জনকে পরম মায়ায় জড়িয়ে ধরল।ভালোথাকুক তাদের ভালোবাসা।একজন আরেক জনকে এভাবেই ভালোবাসুক সারা জিবন।
(হ্যাঁ এরাই সেই তাসফি আর নিধি।।।নিধির ভালোবাসার বন্ধন ওদের আলাদ করতে পারি নি।প্রায় এক বছর পর আজ ওরা একসাথে এক জায়গায় বসেছে।দুজন কেই চিকিৎসারর জন্যে বাইরে নিয়ে যেতে হয়।আজ তারা এক হয়েছে।
এর বেশি আমি আর কিছু লিখতে পারলাম না।সরি।লিখাটা গল্পের মত বা নিজের মত সম্পুর্ন করতে পারি নি তাই আবার সরি
)
.
ভুল ত্রুটি মার্জনীয়
তাসফি আহমেদ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url