ভালোবাসার পরিনতি ২য় পর্ব
মহি আর রুপা পার্টি সেন্টারের ভেতরে প্রবেশ করল।যেন
কোন রাজপুত্র আর তার রানি প্রবেশ করছে।যা সবার নজর
কেড়েছে।তাদের দেখলেই মনে হয় তারা কোন সম্ভ্রান্ত
পরিবারের।কিন্তু তারা তা নয়।অনেকেই তাকিয়ে আছে
তাদের দিকে।অনেকেই তাকাতে পারছে না কারন
তাদের সাথে তাদের স্ত্রী আছে।কিন্তু আড় চোখে সে
তাকাচ্ছেই।অনেকের হিংসা হচ্ছে।ভিতরটা জ্বলছে।
ভাবছে,"এই হাদারামটার স্ত্রী এত সুন্দর! ভাবা যায় না।
মেয়েরা নিশ্চই গরিব।তাই হয়ত এমন আবুলের কাছে বিয়ে
দিয়েছে।"
তারা এটা মুখ ফুটে বলছে না।কিন্তু তাদের চেহারা
সেটা ঠিকই বলে দিয়েছে।
মহি কোথাও যাচ্ছে না।মানে যেতে পারছে না।রুপা সেই
যে হাত ধরেছে আর ছাড়ছে না।হয়ত ভয় পাচ্ছে।এত বড়
আয়োজন আগে দেখে নি হয়ত।মহি ওর ভয় ভাঙ্গাতে
চাইল।তাই ওকে ওর অন্য কলিগদের বউ এর সাথে রেখে
একটু আড়াল হল।আড়াল হয়ে দেখতে চাইল রুপার ছন্নছাড়া
অবস্থা।মহি দূর থেকে দেখল রুপা অনেকটাই অস্থির হয়ে
উঠছে।মাঝে মাঝে পাশের মহিলার কথা শুনে হাসছে
ঠিকই কিন্তু মনে মনে খুঁজছে মহিকে।দূর থেকে তা দেখে
হাসছে মহি।আনন্দ পাচ্ছে খুব।এমন সময় ওর কাঁদে কারো
হাতের স্পর্শ পেল।
.
:আসসালামুআলাইকুম স্যার।ভালো আছেন।
:এই যা দেখছ।তা তোমার কি অবস্থা? স্ত্রী কে নিয়ে
বেশ আনন্দেই আছ মনে হয়?
মহি কিছু বলল না।একটু লজ্জা পেল।মাথা নামিয়ে নিল।
মুখ টিপে হাসল।লোকটা বললেন
:তোমার পারিবারিক অবস্থা তো খুব একটা ভালো না।
তাই না।
:আপনারা তো সবই জানেন।
:তোমার তো প্রমোশন হয়ে যাবার কথা। হচ্ছে না কেন?
:আপনার সাইনটা দিলে এত দিনে হয়ে যেত স্যার। যদি
একটু কৃপা করতেন।
:ও হ্যাঁ।তা বটেই। সমস্যা নেই। কাজ হয়ে যাবে।প্রমোশন
পেয়ে যাবে।তবে..
এই বলে সে নিজের গালের দাড়ি গুলো একটু চুলকাল।মহি
কিছুটা বুঝতে পেল। টাকা! টাকা চাই তার।এত দিন বলতে
পারে নি।এখন সুযোগ বুঝেই বলে ফেলল।মহি ভ্রু কুছকে
বলল,
:স্যার! আপনি তো জানেন টাকা পয়শার খুব অভাব আমার।
তারপরেও...
:আরে ধুরর মিঞা! আমি কি টাকা চাইছি।
:তাহলে?
লোকটা গাল বাঁকা করে হাসল।গালটা আবার চুলকিয়ে
নিল।বলল,
:এদিকে আস!
মহি এগিয়ে গেল।সে মহির কানের সামনে মুখ নিয়ে বলল,
:প্রমোশনটা হয়ে যাবে।তবে...
:তবে...
মহি কান সরিয়ে নিয়ে কথাটা বলল।ওর বুকটা ধুপ ধুপ
করছে।মহি রুক্ষ দৃষ্টিতে তাকাল।লোকটা বলল,
:তোমার বউকে যদি একবার আমার কাছে পাঠাও তবে।
বেশি সময় নিব না।
মহিত মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল।হুট করেই চোখ গুলো
ছলছল করে উঠল। বুকটা কেঁপে উঠল।বলল,
:মানে! স্যার আপনি...
:আরে এতটা বিচলিত হইও না।এগুলো এখন অহরহ ঘটে।কেউ
কিচ্ছু জানবে না।আমার একটা গোপন জায়গা আছে।
:স্যার আপনি! আপনি এতটা নিচ হতে পারলেন?
:আরে! এখনে নিচ হওয়ার কি আছে।জাস্ট একটু মজা আর
কি। এতে তোমারও লাভ।আমারো লাভ।ভেবে দেখ।এক
রাত কেবল।
মহির চোখ দিয়ে ক'ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল।ছিঃ
পৃথিবীর মানুষ গুলো এতটা নিচে নেমে গেছে।ঘরে বউ
থাকতেও অন্যের বউয়ের উপর চোখ দেয়।ছিঃ এরা কি
মানুষ। না জানোয়ার। ছিঃ।
মহির রাগ হল ভীষন। নিজের প্রিয়জনের নামে এতটা
বাঝে কথা মেনে নিতে পারে নি ও।তাই পশুটাকে
জায়গাতেই শিক্ষা দিয়ে দিল।ঠাশ ঠাশ করে ক'টা চড়
লাগিয়ে দিল।লোকটার ঠোট ফেটে গেছে।রক্ত বের
হচ্ছে।মহি কড়া স্বরে বলল,
:ভবিষ্যতে যেন কারো বউয়ের নামে এসব কথা বলতে বা
শুনি।তোর চাকরির উপর থুথু দি।শালা বেয়াদব। তোদের
মত নর পশুর কারনে আজকে আমাদের দেশের এ অবস্থা।
এই বলে সে পিছন ফিরে তাকাল দেখল রুপা দাঁড়িয়ে
আছে।ওর চোখ ছল ছল করছে
মহি আর দাঁড়াল না।রুপার হাত ধরে বের হয়ে গেল।কিছু
সময় সবাই স্তব্ধ হয়ে কথা গুলো শুনল।মহি বের হয়ে যাবার
সময়ও সব নিস্তব্ধ ছিল।
.
মহি বাসায় চলে এল।ভীষন মন খারাপ ওর।আর যাই হোক
চাকরিটা ও করবে না আর।এত নোংরা জায়গায় চাকরি
করার ইচ্ছে ওর নেই।মহি রুমে বসে আছে।কিছু সময় পর রুপা
এল।ওর মুখটা বিষন্ন। কালো হয়ে আছে।আড়াল হয়ে
কেঁদেছে নিশ্চই।রুপাকে দেখে মহির খারাপ লাগার
মাত্রাটা বেড়ে গেল।সব ওর জন্যে হয়েছে।সব! এটা
ভাবতেই খারাপ লাগে মহির।রুপা এসে মহির কাছে বসল।
একেবারে পাশে বসল।ভেজা গলায় বলল,
:তুই চাইলে আমি যেতাম।
মহি কড়া দৃষ্টিতে তাকাল।বলল,
:কোথায়?
:লোকটার সাথে...
এতটুকু বলেই থেমে গেল রুপা।মহির রাগ উঠে গেল আবার।
ভীষন রাগ হল।ঠাশ করে রুপার গালে একটা চড় বসিয়ে
দিল।বলল,
:এটা তুমি ভাবলে কি করে? চাকরি গেলে যাবে।আমি
তোমাকে হারাতে চাই না।বুঝলে।
কথা গুলো খুব জোরে বলল মহি।বলেই রুম থেকে বেরিয়ে
গেল।রুপা বসে রইল একলা।ক'ফোটা জল গাল বেয়ে পড়ল।
রুপা নিজের স্বামির জন্যে নিজের জানটা দিয়ে দিতে
প্রস্তুত। সর্বদা।যেভাবে ওর স্বামী ভালো থাকবে ও সে
ভাবেই চলবে।প্রথম দিন দেখার সাথেই সাথেই রুপা মহির
হয়ে গেল।কেন জানি রুপা নিজের ভিতর অন্য এক স্বত্তা
আবিষ্কার করে।যা মহির জন্যে পাগল প্রায়।সেই স্বত্তা
টা
যেন মহির সাথে লেগে আছে।আবার মাঝে মাঝে মনে
হয়ে সে মহিই।যে রুপার মাঝে বাস করে।রুপা বিছানায়
শুয়ে পড়ল একপাশ হয়ে।গালটা লাল হয়ে আছে।কাঁদছে
মেয়েটা। খুশির কান্না।মহি ওকে কতটা ভালোবাসে এর
প্রমান পেয়েছে রুপা।
.
মহি রুমে এসে দেখল রুপা একপাশ হয়ে শুয়ে আছে।ভীষন
মন খারাপ হল মহির।ছলছল চোখে এগিয়ে গেল সেদিকে।
ওকে মারাটা ঠিক হয় নি।একদম ঠিক হয় নি।মহি রুপার
পাশে শুয়ে পড়ল।একেবারে রুপার গায়ের সাথে গা
মিলিয়ে।তারপর হুট করেই ওকে জড়িয়ে ধরল।রুপার পিঠে
মুখ গুঁজে কান্না শুরু করে দিল।বলল,
:আমায় প্লিজ ক্ষমা করে দিও।এ জীবনে কিছুই তোমাকে
দিতে পারি নি।কেবল লাঞ্চনা, বঞ্চনা, কষ্ট ছাড়া।
আসলে তোমার কপালটাই খারাপ।আমার মত এমন একটা
গরিবের সাথে তোমার বিয়ে হল।
এই বলে কান্না শুরু করে দিল।রুপা মহির দিকে ফিরল।
আশ্চর্য চোখে তাকাল মহির দিকে।মহিকে কখনও এভাবে
কান্না করতে দেখে রুপা।মহির কান্না দেখে রুপাও
কান্না করে দিল।ভেজা গলায় বলল,
:কে বলল তুমি আমাকে কিছু দিতে পার নি।যা দিয়েছ
তাই অনেক। আমি এত ভালোবাসা কখনই পেতাম না যদি
তোমার সাথে আমার বিয়ে না হত।কোন বড় লোকের ঘরে
বিয়ে হলে কি এটা পেতাম।আমার মনে হয় না।বরং তার
প্রমোশনের জন্যে সে আমাকে বিক্রি করে দিত।তুই যা
দিয়েছ তাই অনেক। এর চেয়ে বেশি কিছু চাই না আমি
মহি।
মহি কিছু বলল না।কান্নার বেগটা আরো বাড়িয়ে দিল।
রুপা শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।নিজের বুকের সাথে চেপে
ধরল।দুজনেই কান্না করছে।ভালোবাসার কান্না করছে।
পরম পবিত্র সেই ভালোবাসা।
.
:তাহলে এই কারনে আমি খালেদ সাহেব কে চড়
মেরেছেন।
:জী।এটাই সেই কারন।মানুষ এতটা নিচ হতে পারে সে
আমার জানা ছিল না।
মহি বসে আছে ওর সেই অফিসের বসের ছেলের সামনে।
যে এখন তাদের অফিসের বর্তমান এমডি।সকালে ফোন
দিয়েছে।ওকে এবং ওর বউকে দেখা করার জন্যে। রুপা
কাজ ছিল।তাই ও আসতে একটু দেরি হচ্ছে।মহি কথা গুলো
বলতে চায় নি।তাসফির পিড়াপিড়িতে বলতে বাধ্য
হয়েছে।আর সত্য বলতে লজ্জা কিসের।
তাসফি ফোনটা হাতে নিল।কাকে যেন ফোন করল।বলল,
:খালেদ সাহেব কে এখনই চাকরি থেকে বহিষ্কার করে
দাও।বেশি তালবাহানা করলে মামলা করে দিও।নারী
নির্যাতনের মামলা।বুঝেছে!
ওপাশ থেকে আওয়াজ এল।কিন্তু মহি কিংবা তাসফির
পাশে বসে থাকা মেয়েটা শুনতে পায় নি।
ফোনে কথা বলে তাসফি মহির দিকে ফিরল।বলল,
:আমি খালেদ সাহেবের সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনেছি।
সেদিন যে আপনি তাকে চড় দিলেন সেই কারনটা বের
করতে গিয়ে আরো অনেক সত্য বেরিয়ে এল।এমনকি
আপনার সিনিয়র যে মেয়েটা ঐযে কি যেন নাম...
:রিয়া!
:হ্যাঁ। রিয়ার সাথেও নাকি এমন কিছু করতে চেয়েছিল।
কিন্তু আব্বুর কারনে পারে নি।আব্বু নিজেই রিয়ার
বাইবা এক্সাম নিয়েছে।তা না হলে আজ তারও একই
অবস্থা হত।তার বিরুদ্ধে খুব জলদি কিছু করা আবশ্যক। তাই
সেটাই করে দিলাম।
:লোকটা তো অনেক খারাপ।কি বিবৎস সে।ছিঃ তার ঘরে
কি বউ নেই।এক কেউ ডাক দেয় না। বাধা দেয় না।কেউ কি
ওর কুকর্মের জন্যে কিছুই বলে না?
:তার কারনেই আমাদের কোম্পানির আজ এ অবস্থা। তা
না হলে আপনাদের মত কর্মি থাকতে আমাদের
কোম্পানি এত পিছনে পড়ে থাকত না।আপনি কাল থেকে
খালেদ সাহেবের পদে চাকরি করবেন।কি? রাজি তো!
মহি কিছুক্ষণ কিছু একটা ভাবল। তার আগেই তাসফি বলে
উঠল,
:এত ভাবা ভাবির কিছু নেই।আপনাকে আসতে হবেই।
মহি মৃদু হাসল।ছেলেটার উদারতা ভীষন ভালো লাগল।
বলল,
:আচ্ছা! ঠিক আছে।আসব।
:তা আপনার ভালোবাসার মানুষ কই? আসছে না যে।
খাবার অর্ডার দিব।ভীষন খিদে পেয়েছে।
.
রুপা এসেই মহির পাশে বসল।তাসফি কে দেখেই বলে উঠল,
:আরে আপনি? এখানে?
মহি আর তাসফির পাশের মেয়েটা দুজনেই চমকে গেল।
মহি বলেই ফেলল,
:তুমি ওকে চিন নাকি?
রুপা নিঃসংকোচে বলল,
:চিনি মানে! খুব ভালো করে চিনি।
:কিভাবে?
:ইন্টারে পড়া কালীন ইনি আমার পিছনে লাইন মেরেছে
কয়েকদিন।
মহি মুখ কালো করে বলল,
:মানে?
:যা শুনেছ তাই।
মহির মুখটা আরো কালো হয়ে গেল।তাসফি লজ্জা
কাটিয়ে বলল,
:আরে অন্য কিছু ভাববেন না।যৌবনে পিড়াপিড়ি আরকি।
তখন ওকে।ভালো লেগেছিল।জাস্ট এতটুকুই।পরে ওকে
প্রপোজও করি।প্রপোজের উত্তরে কি বলল জানেন?
:কি?
:বলল যে যে ওর স্বামি হবে তাকেই ও ভালোবাসবে। তার
আগে কারো মায়ায় পড়ার ইচ্ছে ওর নেই।আমি শুনেই
চমকে গেলাম।তখন পড়াশুনা করছি।তাই ওকে বিয়ের
প্রস্তাবও দিতে পারি নি।এর কিছুদিন পরেই ওর বিয়ে
হয়ে যায়।আমিও আর এত খুঁজিও নি।
মহি মৃদু হেসে বলল,
:মিস করেছ ভাই।আমি যা ভালোবাসা পাচ্ছি তা কিন্তু
তুমি পেতে।
:তা তো বটেই।
মহি আবার বলল,
:রুপা! তোমার মনেও কি বিন্দুমাত্র মায়া ওর জন্যে
জন্মায় নি?
:জন্মানোর সময় হল কই।তার সাথে তো আমার পরিচয় এক
সপ্তাহও হয় নি।
এই বলে ও হাসতে লাগল।সাথে মহি, তাসফি আর তাসফির
সাথে বসে থাকা স্থির থাকা মেয়েটাও হাসা শুরু করল।
.
ওরা চলে গেছে।বসে আছে তাসফি আর মেয়েটা। হুট
করেই মেয়েটা বলে ফেলল,
:এই কি সেই রূপা যা কথা তুই আমাকে সারা দিন শুনাস।
তাসফি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
:হুম।এই সেই।এই সেই গল্পের নাইকা।আমার গল্পের
নাইকা।
:হুহ! এর জন্যেই তো তুই আমাকে একটুও ভালোবাসিস না।
:কে বলল আমি তোকে ভালোবাসি না।
:বলা লাগে না।দেখলেই বুঝা যায়।দেখিস নি ওরা দুজন
দুজনকে কতটা ভালোবাসে।
:তা আমি কি তোকে কম ভালোবাসি নাকি?
:কমই তো।
:তাহলে চল!
:কোথায়?
:কাজি অফিসে। তোকে আরো বেশি ভালোবাসার
ব্যবস্থা করব।
মেয়েটা লজ্জা পেল। ভীষন লজ্জা পেল।লজ্জায় লাল
হয়ে গেল।তাসফি তা মুগ্ধ হয়ে দেখল।সত্যিই রুপার চেয়ে
অনেক সুন্দরি। অনেক।
(সবার চোখে তাদের প্রিয়তম অনেক সুন্দরি। ছাই সে
কালো হোক কিংবা শ্যামলা কিংবা ফর্সা।)
অবশেষে তারা সুখে শান্তিতে সংসার করতে লাগল।
মহি আর রুপার একটা ছেলে সন্তান হল।ওরা আদব করে ওর
নাম রাখল "তাসফি "।
সেদিন রুপা মিথ্যে বলেছে। একটু মায়া অবশ্যই জন্মেছে
তাসফি প্রতি।সেটাই জানতে পারে নি।আর পারবেও না।
.
দুষ্ট প্রকৃতির লোকে ভরে গেল বিশ্ব।তবে কিছু ভালো
মানুষ বেঁচে আছে বলেই পৃথিবীটা আজও টিকে আছে।তা
না হলে এতদিনে ধ্বংস হয়ে যেত পৃথিবি। ভালো মানুষ
গুলোর সংখ্যা কমছে অনেক। যখন একেবারে ভালো মানুষ
গুলো নাই হয়ে যাবে তখন পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য।
.