Bangla Golpo: বিষাদ আজ মন ছুঁয়েছে ৫
Bangla Golpo: বিষাদ আজ মন ছুঁয়েছে
(পঞ্চম পর্ব)
-অতোশিকে লাঞ্চের জন্যে ইনভাইট করেছিল শাহেদ। সে আসলো সাড়ে বারোটায়। আমি তখন বাসায় ছিলাম না৷ পাশের প্ল্যাটের নিলাশা আপা আছে না? উনার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
লিলি একটু থামলো। স্বল্প বিরতি৷ তমা একভাবে বোনের দিকে তাকিয়ে থাকলো৷ তার বোনকে ভীষণ ক্লান্ত লাগছে৷ ক্লান্ত চেহারাটা হঠাৎই যেন মায়াময় হয়ে উঠছে৷ মুখের ফ্যাকাসে ভাবটা যেন সমস্ত মুখে কেমন মলিন উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছে৷ লিলিকে এতো মায়াবী লাগছে! তমার মনে হলো তার এই বোনটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একজন সুন্দরী রমনী৷ সে আর কখনই এতো সুন্দর কোনো মেয়ে দেখেনি৷ ইশ! শাহেদ ভাইয়া যদি এই অবস্থায় আপুকে দেখতো! তমার আফসোসের সীমা থাকলো না৷ লিলি বলে উঠলো,
-আমি যখন নিলাশা আপাদের বাসা থেকে এলাম তখন দেখলাম, কালো শাড়ি পরা এক রূপসী আমাদের সোফা উজ্জ্বল করে বসে আছে৷ তার চুল ছাড়া। গায়ের রং দুধের মতো। গাড় কালো চোখ৷ চোখ দুটোয় খুব যত্ন করে কাজল দেওয়া। ঠোঁটে হালকা লাল লিপস্টিক। তমা, আমি যখন অতোশিকে দেখলাম, আমার মনে হলো আমি এতো সুন্দরী মেয়ে আর কখনই দেখিনি৷ সেই মূহুর্তেই আমি উপলব্ধি করলাম, শাহেদ মিথ্যা মিথ্যা এই মেয়ের প্রেমে পড়েনি। তার প্রেমে পড়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আমি তখনই মৃদু ঈর্ষা অনুভব করলাম। আমার চোখে কেন জানি পানি চলে আসতে চাইলো। আমার মনে হলো আমি এই মেয়েটাকে আর এক মূহুর্তের জন্যেও সহ্য করতে পারবো না। তাকে দাওয়াত দিয়ে বড় ভুল করে ফেলেছি।
তমা, আমি যখন তোর দুলাভাইয়ের দিকে তাকালাম, তখন আরো বেশি অবাক হলাম। সে অনেক দিন পর তার প্রিয় রঙের পাঞ্জাবীটা পরেছে৷ কালো পাঞ্জাবীতে ওকে এতো আকর্ষণীয় লাগছিল; যা বলার মতো না। আমি আরেকটু ভালো করে লক্ষ্য করতেই দেখলাম, শাহেদ একদৃষ্টিতে অতোশির দিকে তাকিয়ে আছে। এতো গভীর ছিল সেই দৃষ্টি! আমার সমস্তা গা কেঁপে উঠলো তখন৷ কেমন জানি লাগছিল৷ চোখ জ্বলে উঠলো চট করেই৷
লিলি থামলো। কিছু সময় চুপ করে থাকলো সে৷ কোনো কথা বলল না। মুখটা শক্ত করে থাকলো। তমার মনে হলো তার বোনের মনটা ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে যাচ্ছে৷ সে একটু পরেই কান্না করতে চাইবে৷ অথচ কান্না আসবে না৷ ফল স্বরূপ সে রেগে যাবে৷ আর রাগলেই যতো সমস্যার সৃষ্টি হবে৷ তমা চট করেই বলে উঠলো,
-আপু, খুব ক্ষুদা পেয়েছে৷
লিলি চট করেই সোজা হয়ে বসলো। তার যেন হঠাৎ মনে পড়েছে যে তমা কিছু খায়নি৷ সে জলদি করে উঠে দাঁড়ালো। তমার হাত টেনে বলল,
-চল, খেতে আয়৷ আমি তোকে নিজ হাতে খাওয়াবো৷
তমা মুখে হাত দিয়ে হাসলো। কয়েক সেকেন্ড পরেই সে মুখ থেকে হাত সরিয়ে বলল,
-তুমি আমাকে খাইয়ে দিলে আমিও তোমাকে খাইয়ে দিবো৷ কেমন?
তমাকে এভাবে হাসতেই দেখে খুব ভালো লাগলো লিলির৷ সেও চট করেই হেসে ফেললো। বললো,
-খুব বড় হয়েছিস না?
তমা কিছু বলল না৷ হাসলো কেবল। তারা দু'জনেই উঠে গেল। একসাথে খেতে বসলো। দু'জনের হাতে দুটো প্লেট। একজন আরেকজনকে খাইয়ে দিচ্ছে৷ মাঝে মাঝে তমা হাসির কথা বলছে, 'আপু, আজ ভার্সিটিতে কী হয়েছে শুনো, অয়ন নামের একটা ছেলে আছে৷ আমাদের ক্লাসে পড়ে। খুব দুষ্ট ছেলে। আমাকে সারাক্ষণ জ্বালায়৷ আজ কী হয়েছে, দূর থেকে আমাকে দেখতেই সে 'তমু' 'তমু' করে চিল্লাতে থাকলো। এক সময় দৌড়ে আসতে থাকলো। কিন্তু কিছুদূর আসতেই বদটা স্লিপ খেয়ে রাস্তায় পড়ে গেল। পুরো ভার্সিটি যেন মূহুর্তে হেসে উঠলো। হিহিহি।' কথাটা বলেই তমা হাসতে থাকলো। অন্য সময় হাসলে সে ডান হাত মুখের উপর দিতো৷ কিন্তু এখন সেটা দিতে পারছে না৷ ডান হাত দিয়ে সে লিলিকে খাওয়াচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে তাকে বাম হাতটা নাকের নিচে রাখতে হলো। ব্যাপারটা অন্যরকম লাগলো লিলির কাছে৷ সে চট করেই হেসে ফেললো। তমা মনে মনে ভাবলো, যাক, অয়ন বদটার কারণে আপুকে একটু হাসানো গিয়েছে!
লিলি বললো,
-অয়ন কি তোর বন্ধু?
-মাথা খারাপ? এমন বদ ছেলে বন্ধু হয় কী করে?
-তাহলে? ও যে তোকে 'তমু' বলে ডাকছে?
-আর বলো না। ওকে কথা বললে একদমই শুনে না৷ বেহায়া টাইপের৷ কতো করে বললাম আমাকে এই নামে ডেকো না। সে শুনেই না!
-নামটায় খারাপ কী?
-কে জানি। আমার ভালো লাগে না৷
লিলির চট করেই শাহেদের কথা মনে পড়ে গেল। এমন প্রশ্ন করলে শাহেদ এভাবে বলতো, 'কে জানি'। এই শব্দটা ও প্রায়ই ইউজ করতো৷ তমা কি শাহেদের থেকেই এই কথাটা শিখেছে? লিলির মুখটা কালো হয়ে এলো। শাহেদের কথা মনে পড়লেই তার মুখ কালো হয়ে আসে৷ এমনটা কেন হয়? তমা বললো,
-আপু, আমি তোমার সাথে ঘুমাবো আজ।
-বাবু খুব জ্বালায়৷ কান্না করে। তোর ঘুম হবে না৷
-আমি থাকলে বাবু কান্না করবে না৷ চিন্তা করো না৷
-কোনো প্রয়োজন নেই। কাল তোর ভার্সিটি আছে। তোর ঘুমের প্রয়োজন।
-আমি কোনো কথা শুনতে চাই না৷ আমি আজ তোমার রুমে ঘুমাবো, ঘুমাবোই। ব্যস!
সত্যি সত্যিই তমা লিলির সাথে শুতে গেল। শাহেদের বাসা থেকে আসার পর এই প্রথম বার লিলি বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে পড়লো। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গেল সে৷ তমা ব্যাপারটায় অবাক হলো। তবে তার বেশ ভালো লাগলো। ব্যাথা এমন এক জিনিস, যার কথা কাউকে না কাউকে বলতেই হয়। না বললে বুক পাথর হয়ে থাকে। বললেই যেন মনের কোণে শান্তি মেলে। অদ্ভুত প্রশান্তি। যেন বড় একটি পাথর সরে গিয়েছে। লিলির বেলায়ও কি তাই ঘটলো?
তমা খুব চেষ্টা করেও চোখে ঘুম টানতে পারলো না চোখে৷ তার প্রায়ই এমন হয়৷ কোনো গল্প পুরোপুরি না পড়ে কিংবা শুনে সে চোখ লাগাতে পারে না৷ আজও তাই হয়েছে৷ লিলি-শাহেদের গল্পটা অর্ধেক শুনেছে সে৷ বাকিটা জানা হয়নি৷ এখন মনের ভেতর নানান প্রশ্ন জাগছে। সেই প্রশ্ন গুলো তাকে পাগল করে তুলছে৷ যেন বাকিটা না শুনলে এই জীবনেও তার ঘুম আসবে না৷ সে খুব চেষ্টা করলো ঘুমানোর৷ অথচ তার চোখে বিন্দুমাত্র ঘুম নেই।
.
কলিং বেল বেজে উঠলো। সেই শব্দে শাহেদের ঘুম ভেঙ্গে গেল। কপাল কুচকে এলো তার। এই অসময়ে কে এসেছে? বেলটা আবার বেজে উঠলো৷ আবার এবং আবার। শাহেদের বিরক্তির সীমা থাকলো না৷ সে কোনো মনে উঠে বসলো৷ চোখ ভালো করে মেলতেই দেখলো সে চেয়ারে বসে আছে৷ সে খানিকটা অবাক হলো, পুরো রাত কি টেবিলেই ঘুমিয়ে কাটিয়েছে নাকি?
শাহেদ ফোন অন করলো। সাড়ে আটটা বাজে৷ সময়টা দেখতেউ তার রাতের কথাটা মনে পড়ে গেল। ইদানীং রাত গুলো বেশ কঠিন যাচ্ছে৷ একেবারে মনে দাগ লাগিয়ে দিচ্ছে। শাহেদ কোনো রকমে উঠে দাঁড়ালো। মাথাটা ভীষণ ভার হয়ে আছে। এই ঘুরে পড়ে যাবে যেন৷ শরীরটা যেন ভেঙ্গে যাবে এমন অবস্থা। সে তার শরীরের গতি ঠিক বুঝতে পারল না৷ শরীরটাও ইদানীং পর পর ব্যবহার করছে।
শাহেদ দরজা খুলতেই অবাক হলো। যেন এই মূহুর্তে এই মানুষটাকে এখানে একদমই আশা করেনি৷ ও দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে হাসলো। বলল,
-তমা? তুমি হঠাৎ এখানে?
তমা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। সে কণ্ঠে অবাক মিশিয়ে বলল,
-দুলাভাই? আপনার এই অবস্থা কেন?
শাহেদ হাসলো। বলল,
-ভেতরে এসো৷
তমা ভেতরে এসে দাঁড়ালো। শাহেদ বলল,
-কী খবর? হঠাৎ এখানে?
তমা চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে। তার কণ্ঠেই সেই অবাক ভাবটা রয়েই গেল৷ বলল,
-আপনি পাঁয়ে চোট পেয়েছেন কীভাবে?
-রিক্সার সাথে সামান্য লেগে এই অবস্থা হয়েছে। তুমি চিন্তা করো না। কী খাবে বলো? অবশ্য দেওয়ার মতো তেমন কিছুই নেই। কেবল চা ছাড়া৷ চা দিবো?
তমা পূর্বের প্রসঙ্গেই রয়ে গেল৷ বলল,
-আপনি এটাকে সামান্য বলছেন? পুরো পাঁ টাই তো ব্যান্ডেজ করা৷ হাতের কনুইয়েও ব্যান্ডেজ। আর আপনার চোখ এতো লাল হয়ে আছে কেন? রাতে কি ঘুম যাননি? ভাইয়া, আপনার গা তো কাঁপছে!
তমার ব্যতিব্যস্ত দেখে শাহেদ কী বলবে ভেবে পেল না।
-এতো গুলো প্রশ্ন করলে যে কোন প্রশ্নটার জবাব দিবো বুঝতে পারছি না৷
কথাটা বলে শাহেদ হাসলো। ফ্যাকাসে হাসি৷ তমা এগিয়ে এসে শাহেদের কপালে হাত রাখলো। হাত রাখতেই সে চমকে গেল। বলল,
-আপনি ঠাট্টা করছেন! জ্বরে তো গা পুড়ে যাচ্ছে।
-কী বলো? জ্বর নাকি?
-আপনি বলতেও পারবেন না?
-কই? আমার কাছে তো তেমন কিছুই মনে হচ্ছে না।
-আপনার গা কাঁপছে ভাইয়া৷ এখানে আসুন। বসুন তো!
শাহেদ বসতে বসতে বলল,
-গা কাঁপছে নাকি?
-আপনি কি সত্যিই কিছু অনুভব করছেন না?
-করছি তমা। আমি অনুভব করছি অরু আমার কোলের উপর বসে আছে৷
-অরু? অরুকে কই পেলেন?
-কে জানে! কিন্তু আমার তো এমনই মনে হচ্ছে৷ আমার মনে হচ্ছে অরু আমার রুমেই আছে৷ আমি ওর কান্নার আওয়াজ শুনছি।
-ভাইয়া, অরু আমাদের বাসায়৷
-তমা?
-হু
-আমি অরুকে অনেক দিন দেখি না৷ এ জন্যে বোধহয় আমার গা কাঁপছে।
-আপনি জ্বরে কাঁপছেন। অরুকে দেখেন না বলে নয়৷
-তুমি বুঝতে পারছো না৷ তোমার বোন আমার উপর সুপ্ত ভাবে একটা মানসিক নির্যাতন করছে। সে জানে আমি অরুকে কতোটা ভালোবাসি৷ ওকে না দেখে থাকাটা আমার জন্যে কষ্টকর। আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্যেই লিলি এমন করেছে৷ আজ দু সপ্তাহ মেয়েটাকে দেখিনি। আমার মনে হচ্ছে কেউ আমার গলার উপর পা দিয়ে চেপে ধরে আছে। আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছি তমা।
তমা কী বলবে ভেবে পেল না৷ শাহেদের এমন অবস্থা দেখে সে মোটামুটি ঘাবড়ে গিয়েছে৷ এখানে এসে শাহেদকে এভাবে দেখবে বলে আশা করেনি৷ শাহেদ বলল,
-চা দেই তোমাকে?
তমা কিঞ্চিৎ রাগ দেখিয়ে বলল,
-মাথা ঠিক আছে আপনার? এই অবস্থায় চা বানাবেন?
-কেন? কী হয়েছে আমার?
-ভাইয়া, আমার মনে হয় আপনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন। আপনি স্বাভাবিক সেন্সে নেই৷
-তাই হবে। পাগলও হওয়াটাই স্বাভাবিক। বউ নাই। বাচ্চাটাও নেই৷ কাল পুরো রাত লিখে কাটাবো ভেবেছি৷ অথচ গত এক সপ্তাহ ধরে কিছুই লিখতে পারছি না৷ লিখতে না পারার কষ্ট কি সেটা তুমি বুঝবে না তমা। আমার ভেতরের সকল দুঃখ লেখার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে। এখন আমার দুঃখের মৌসুম। অথচ আমি লিখতে পারছি না৷ আমার ভেতরের দুঃখও বের হচ্ছে না৷ লিলি, তুমি কি বুঝতে পারছো আমি কতোটা কষ্টে আছি।
তমা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
-ভাইয়া, আমি লিলি না৷ আমি তমা। লিলির ছোট বোন।
শাহেদ ফ্যাকাসে হাসি দিলো। বলল,
-সরি। আসলে মাথাটা ভীষণ ঘুরছে। রাতে একদম ঘুম হয়নি। প্রায় ভোরের দিকে ঘুমিয়েছি। তুমি হঠাৎ এখানে এলে যে?
-কেন এলাম সেটা বাদ দেন৷ না এলে আপনার কী হতো সেট ভাবুন৷ জ্বরে যে পুড়ে যাচ্ছেন সেই খেয়ালটাও তো নেই৷ খেয়াল থাকলে অন্তত ঔষুধ খেতেন। ইশ! আমি না এলে যে কী হতো?
শাহেদ হেসে বলল,
-মারা যেতাম কি না কে জানে৷ তবে গেলে অবশ্যই ভালো হতো৷ এপাড়ের সকল ঝামেলা চুকে যেতো৷ তোমার বোনও শান্তি পেতো।
-ভাইয়া৷ আজেবাজে কথা বলবেন না৷ আপুকে ছাড়া আপনি যেমন কষ্টে আছেন তেমনি আপুও কষ্টে আছে। তার অবস্থাও বিশেষ ভালো নয়।
শাহেদ প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে বলল,
-তমা, এককাপ চা বানিয়ে খাওয়াবে? মাথাটা ভীষণ ধরে আছে৷
-এখন চা খাবেন? নাস্তা করবেন না? নাস্তা করতে হবে তো! ঔষধ খাবেন না?
-আগে এককাপ চা খাওয়াও। তারপর যা হবার হবে৷
তমা জলদি করে রান্নাঘরে গেল৷ রান্না ঘরে এসেই তার মাথা ঘুরিয়ে গেল। কোথাও কি রাখা এসব তার জানা নেই৷ এসব খুঁজতেই ঘেমে গেল তমা। রান্নাঘরে তার অবদান আজ অব্দি বিশেষ লক্ষ্য করা যায়নি৷ সব গুছিয়ে কড়া করে এক কাপ রং চা বানিয়ে নিয়ে আসতেই তমার খানিকটা সময় লেগে গেল৷ চা হাতে ফিরে আসতেই দেখলো শাহেদ সোফায় শুনে আছে৷ বাংলা বর্ণমালা 'দ' এর মতো শুয়ে থাকা৷ তার শরীর মৃদু কাঁপছে৷ তমা ডাকলো,
-ভাইয়া?
শাহেদের জবাব পাওয়া গেল না৷ তমা শাহেদকে ডাকার উদ্দ্যেশ্যে হাত ধরলো৷ ধরতেই সে অনুভব করলো শাহেদের হাত বরফ হয়ে আছে৷ সে বেশ চিন্তায় পড়ে গেল। কয়েক সেকেন্ড পর শাহেদ অস্ফুট স্বরে বলল,
-লিলি, আমার ভীষণ শীত লাগছে৷ একটা কাথা দিও তো৷
.
চলবে...
.
গল্পঃ বিষাদ আজ মন ছুঁয়েছে
(পঞ্চম পর্ব)
.
ভুলত্রুটি মার্জনীয়
-তাসফি আহমেদ